সম্প্রতি গাজীপুরের চাঞ্চল্যকর শাকিল খুনের ৪ আসামী গ্রেফতার,সন্দেহের তীর নেপথ্যে কাউন্সিলর পুত্র সাব্বির
শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুরঃ
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিল ওরফে নুর আলম (১৭) এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে সন্ত্রাসীরা । তবে নিহতের পিতার অভিযোগের তির কাউন্সিলর পুত্র সাব্বিরের দিকেই। গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় গাছা থানাধীন কুনিয়া পাছর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাকিল গাছা থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী জুয়েল মন্ডলের একজন কর্মী ছিলেন। শাকিল (১৭) প্রতিভা স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। এ ঘটনার জুয়েল মন্ডল কর্মী শাকিল হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠ বিচারের দাবী করে গত ১৩ই এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করেন।
এবিষয়ে নিহতের পিতা বলেন,শাকিল ও তার সহযোগী ফাহিম (১৫) বখাটেদেরকে বিভিন্ন সময় তাদের অপকর্মে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত আমার ছেলেকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসিতেছিলো। উল্লেখিত আসামীরা ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দুলাল এর ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় চলাফেরা করে। গত ১২ই এপ্রিল ২০২১ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৫ঘটিকার সময় শাকিল বর্তমান ঠিকানার বাসা হইতে বাহির হয়। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ঘটিকার সময় বন্ধু মোঃ ইমন কে নিয়ে কুনিয়া পাচর তালেব মার্কেট এলাকায় মোবাইলে গেমস খেলা কালিন সময়ে উপরে বর্ণিত আসামীদের সাথে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক প্রত্যেকের হাতে থাকা রাম দা,ছেন,চাপাতি,ছুরি,চাকু ও লোহার রডসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বে-আইনী ভাবে সংঘবদ্ধ ভাবে আমার ছেলেকে এলোপাথারি কিল,ঘুসি ও কুপিয়ে গুরতর জখম করে। শাকিলের ডাক চিৎকারে এলাকার স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় শাকিল ও ফাহিমকে তাইরুন নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর আলম ওরফে শাকিলকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত ফাহিমের অবস্থা ক্রমান্নয়ে অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শাকিলের পিতা এজাজুল ইসলাম (৪০) গত ১৩ই এপ্রিল দুই জনকে আসামী করে (আসামীরা হলেনঃ ১। আবু সাঈদ, পিতাঃ মৃত ইব্রাহীম, ২। হাবিবুল্লাহ (২৬) পিতাঃ মোঃ ইসমাইল ) জিএমপি‘র গাছা থানায় এজাহার দায়ের করেন। (যাহার মামলা নং-৯/২০২১ইং
ঘটনার খবর পেয়ে গাছা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হাবিবুল্লাহ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ মিজান ও মোঃ শিমুল নামে আরো তিন জনকে প্রেফতার করেন। এঘটনায় মামলায় এজাহার নামীয় ২নং আসামী হাবিবুল্লাহ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দুলাল বলেন, আমার ছেলে ও পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।রাজনৈতিক ও আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারকে ফাঁসানোর পায়তারা করছে একটি মহল । আমি নিজেও এর সঠিক বিচার চাই।
জিএমপি‘র গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন,ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি । নিবিড় তদন্ত চলছে,এই খুনের নেপথ্যে আরও কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।